পদ্মা সেতু বিশ্বের কততম সেতু

পদ্মা সেতু অবস্থান রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে। প্রকল্পের মেয়াদ ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২৩। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার। পদ্মা সেতুর ঠিকাদার চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ কোম্পানি। মূল শক্তি মূল্য ১২হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। 

কাজ শুরু হয়েছিল ২৬ শে নভেম্বর ২০১৪ তারিখ।কাজ সমাপ্তি হয়েছিল ২৫ নভেম্বর ২০১৮তারিখ।কাজের সময় বাড়ানো হয়। কাজের সময়সীমা ৪৮ মাস, বর্ধিত সময় ৪৩ মাস। নকশা আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম এইসিও এম নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি দল। ধারণ ও উপকরণ কংক্রিট ও স্টিল।রক্ষণাবেক্ষণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য :এবং প্রস্থ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য, পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। প্রস্থ:পদ্মা সেতুর প্রস্থ হবে ৭২ফুট,এতে থাকবে চার লাইনের সড়ক।পানির স্তর থেকে উচ্চতা ষাট ফুট।পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট। মোট পিলার সংখ্যা ৪২ টি। মোট পাইলিং ২৮৬টি।

পদ্মা সেতু হলো পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত। এটি হলো বাংলাদেশের বহুমুখী রেলওয়ে সেতু। এই সড়কটি মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার সাথে সংযুক্ত করেছে। এই সেতুটি উদ্বোধন হয়েছে ২০২২ সালের ২৫ শে জুন উদ্বোধন করা হয়েছ। এই সেতুর দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ।এই সিঁদুর দৈর্ঘ্য হলো ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার যা এই সেতুটির বেশি ভাগেই রয়েছে শরীয়তপুর জেল

বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নদী পারাপারের জন্য অসংখ্য সেতু তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের পদ্মা যমুনার মত বিশাল বিশাল সেতু তো তৈরি করা হয়েছে। তবে আপনি কি জানেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেতুগুলো সম্পর্কে। পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘতম কয়েকটি সেতু সম্পর্কে আপনাদের জানাবো না।

সেই সাথে জানাবো বাংলাদেশের পদ্মা ও যমুনা সেতু কত নাম্বারে রয়েছে।বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতুর মধ্যে প্রথম স্থানে যে সেতুটি রয়েছে সেটি হল পদ্মা সেতু।এ সেতুটি দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার।এবং এই সেতুটি বিশ্বের ১২২ তম সেতুর মধ্যে রয়েছে। চলুন বন্ধুরা বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু কনটি তা জানা যাক।বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু মরধে প্রথমে যে তটা আছে তা হল।

 ডাইনাং কুন্সাং গ্রান্দ ব্রিজ চীন। এই ডায়না কনসান সেতুটি এখনো বিশ্বের দীর্ঘতম সেতু। সেতুটি লম্বায় ১৬৫ কিলোমিটার। এই বিশাল সেতুটি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল ৮.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এবং সেতুটি তৈরি করতে সময় হয়েছিল চার বছর। ২০১০ সালে এই বিশাল সেতুরির কাজ শেষ হয়। এখন পর্যন্ত পৃথিবীর এর সর্ববৃহৎ সেতুটি তৈরি করতে দশ হাজার শ্রমিক কাজ করেছিল।

 বিশ্বের দীর্ঘতম দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতুটি  হল  চাংহুয়া কুয়াংশন রেল সেতু তাইওয়ান। পৃথিবীর এই দ্বিতীয় বৃহত্তম সেতুটি তাইয়ানে অবস্থিত। চাংহুয়া কুয়াংশন রেল সেতু ২০০৭ সালে খুলে দেয়া হয়। এটিএম মূলত রেল সেতু এর দৈর্ঘ্য ১৫৬ কিলোমিটার। বিশ্বের দীর্ঘতম  তৃতীয় বৃহত্তম সেতুটি ক্যান্ডি জ্ঞান্ড ব্রিজ চিন।এই ব্রিজ ১৫ কিলোমিটার লম্বা।

 বিশ্বের বৃহত্তম সেতুর মধ্যে এগিয়ে আছে চিন।বিশ্বের এই তৃতীয় বৃহত্তম সেতু চীন অবস্থিত।

যখনি পদ্মা সেতুর কথা উঠে তখন একটি গোষ্ঠী এই সেতুর পিছনে দুর্নীতি খুঁজে পান।এত বড় একটা প্রকল্পএখানে কোন দুর্নীতি হচ্ছে কি হচ্ছে না সেটা বড় গলায় কেউ বলতে পারবেন কিনা জানিনা কিম্বা সেটা বলার সংশ্লিষ্ট মানুষও আমি নই। আমি শুধু যুক্তি দিয়ে পদ্মা সেতুর বাজেটের বিশ্লেষণ করতে চাই। কিছুদিন আগে সামরিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল,

ভারতের ভূপেন হাজারিকা সেতুর একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখেছি।সেখানে অনেকে তুলনা করেছেন। যেখানে ৯.১৫ কিলোমিটার ভূপেন হাজারিকা সেতুর খরচ ১১১২ কোটি টাকা।সেখানে পদ্মা সেতুর খরস্থ ৩০ হাজার কোটি টাকা কিভাবে হয়। সে তুলনায় যাবো না কারণ সেটি আমাদের আজকের বিষয় নয়।

 শুধু এটুকু জানিয়ে রাখি ভূপেন হাজারিকা সেতুর চেয়ে ১৩০ গুন বেশি শক্তিশালী আমাদের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু মানে একটি ব্রিজ বা মূল সেতু হচ্ছে না। মূল সেতুর পাশাপাশি পদ্মা সেতুর পাঁচটি প্রকল্প রয়েছে তা হল মূল সেতু সংযোগ সড়ক নদীর শাসন পুনর্বাসন ও সার্ভিস এরিয়া। এর সবগুলো দিয়ে পদ্মার বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এর সবগুলো মিলে বাজেট ৩০হাজার ১৯৩ কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু যেহেতু বাংলাদেশের সর্ব বৃহত্তম একটি সেতু সে জন্য সে তো দৈর্ঘ্য জানা প্রয়োজন। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এবং এই পদ্মা সেতুতে ৪২ টি পিলার রয়েছে।পদ্মা সেতুতে ভায়ডাক্ট পিলার রয়েছে ৮২টি এবং ৪০টি স্পেন বসানো রয়েছ। একটি পিলার থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০মিটার।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু। ৬.১৫কিলোমিটার সেতুতে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকার বিনিময়ে আমরা এই পদ্মা সেতু বানাতে সক্ষম হয়েছে। এ কারণে বলা হয়েছে পদ্মা সেতু একটি বাংলাদেশের স্বপ্নের সেতু।এই সেতুটিতে ৪২ টি পিলার রয়েছে। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এবং এই সেতুটি বিশ্বের ১২২ তম সেতুর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।