জিপিএস এর সুবিধা গুলো কি কি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছো আশা করি সবাই ভালো আছো আজকের আর্টিকেল আমরা জানবো জিপিএস কি জিপিএস কিভাবে ব্যবহার করতে হয় জিপিএস এর সুবিধা গুলো কি কি এবং জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয় এই সম্পর্কে। জিপিএস সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নাই।জিভের সম্পর্কে কমবেশি আমরা সবাই জানি।
বর্তমান কালের আধুনিক বিশ্ব কতটা জিপিএস নির্ভর তা হয়তো আমরা ভেবেও দেখিনি।জিপিএস ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা কল্পনাই করা যায় না। আধুনিক এই জিপিএস ব্যবস্থা আসার পর থেকে দুর্ঘটনা ব্যতীত কোন বিমান বা জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার খবর নেই বললেই চলে। জিপিএস সম্পর্কে জানতে পারে আজকের আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
ভূমিকা
আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে জানব সে বিষয়টি হলো জিপিএস। জিপিএস এর পূর্ণ নাম হলো গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম। পৃথিবীর কোন স্থানের অবস্থান নিখুঁতভাবে জানার জন্য যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে জিপিএস বলে।আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করব সে বিষয়গুলো হলো।
জিপিএস কি, জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয, জিপিএস কিভাবে কাজ করে এবং যে প্রেসের সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হবে। জিপিএস সম্পর্কে জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
- জিপিএস কাকে বলে
- জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয়
- জিপিএস কিভাবে কাজ করে
- জিপিএস এর সুবিধা গুলো কি কি
- জিপিএস এর অসুবিধা
জিপিএস কাকে বলে
অতীতে অবস্থান নির্ণয়ের জন্য নানা রকমের ঝামেলা পোহাতে হতো।মানচিত্র কম্পাস বা স্কেল দিয়ে মেপেও সঠিক অবস্থান বের করাটা ছিল এক প্রকার অসাধ্য।অথচ বর্তমানে আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে সহজেই এই কাজটি করা যায়।আর সেজন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে বলে জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম।
বাংলায় একে বলা যায় বিশ্বজনীন অবস্থান নির্ণায়ক ব্যবস্থা।বর্তমান কালের আধুনিক বিশ্ব কতটা জিপিএস নির্ভর তা হয়তো আমরা ভেবেও দেখিনি।জিপিএস কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই পর্বে।
জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয়
জিপিএস চালু করার নিয়ম, আপনার মোবাইলের মধ্যে জিপিএস চালু করার জন্য সেটিং অপশন বা নোটিফিকেশন লোকেশন অপশনটি চালু করে দিতে হবে ।এবং সাথে সাথে জিপে চালু হয়ে যাবে।
জিপিএস কিভাবে কাজ করে
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় রাইট শেয়ারিং ঘরে বসে খাবার অর্ডার কর। কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ এর মাধ্যমে লেনদেন করার মত বহু জরুরী কাজে আমরা জিপিএস ব্যবহার করছি। কিন্তু এর বাইরেও যে জিপিএস এর কত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার আছে তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। সমগ্র বিশ্বের ব্যাংকিং লেনদেন স্টক মার্কেট বিদ্যুৎ গ্রিট ডিজিটাল টেলিভিশন স্টেশনের মত অবকাঠামো জিপিএস এর উপর নির্ভরশীল।
জিপিএস ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা কল্পনাই করা যায় না। সামরিক বিমান থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রীবাহী বিমান এবং সমুদ্রগামী জাহাজগুলো জিপিএস ব্যবহার করেই আকাশে কিংবা মহাসাগরে পথ চিনে নেয়। আধুনিক এই জিপিএস ব্যবস্থা আসার পর থেকে দুর্ঘটনা ব্যতীত কোন বিমান বা জাহাজ হারিয়ে যাওয়ার খবর নেই বললেই চলে।
এমনকি এই ব্যবস্থায় আপনি চাইলেও হারিয়ে যেতে পারবেন না। ১৯৯৬ সাল থেকে মোটরগাড়িতেও জিপিএস এর ব্যবহার শুরু হয়েছে।এর ফলে সড়কপথে পণ্য পরিবহন কম্পানিগুলো তাদের মালামাল এই মুহূর্তে কোথায় আছে তার সার্বক্ষণিক নজরদারি করতে পারছে। এছাড়া জিপিএস ব্যবহারের ফলে বিশ্বব্যাপী গাড়ি চুরি ঠেকানো গাছে উল্লেখযোগ্য হারে।
যার সাহায্যে রিয়েল টাইম ট্রাকিং এবং রিয়েল টাইম এলার্ট জানতে পারবেন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে। জিপিএস ভিত্তিক ট্র্যাকিং ডিভাইস ব্যবহার করে আপনার গাড়ি এবং মূল্যবান সম্পদের উপর নজরদারি করতে পারবেন খুবই সহজে।
আরো পরুনঃএন্ড্রয়েড ফোন কত সালে আবিষ্কার হয়
জিপিএস এর সুবিধা গুলো কি কি
অতীতে অবস্থান নির্ণয়ের জন্য নানা রকমের ঝামেলা পোহাতে হতো। মানচিত্র কম্পাস বা স্কেল দিয়ে মেপেও সঠিক অবস্থান বের করাটা ছিল এক প্রকার অসাধ্য।অথচ বর্তমানে আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে সহজেই এই কাজটি করা যায়।সেজন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তাকে বলে জিপিএস বা গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম
জিপিএস প্রযুক্তি আবিষ্কার করা হয়েছিল মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনে। প্রথমদিকে শুধুমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রগুলোতে জিপিএস ব্যবহার করা হলেও পরবর্তীতে সাধারণ মানুষই এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে। এই ব্যবস্থা মূলত কতগুলো স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে সমগ্র পৃথিবীকে পর্যবেক্ষণ করে গ্রাহককে সুবিধামতো তার অবস্থান জানানো হয়।
সহজ করে বলতে গেলে মনে করুন আপনি কোথাও বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে গেছেন। এখন আপনাকে বলা হলো এখন আপনি ঢাকা থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে আছেন। কিন্তু ঢাকা থেকে কোন দিকে ৩২০ কিলোমিটার পূর্ব পশ্চিম নাকি উত্তর দক্ষিণ কোন কিছু জানেন না। এরপর আপনাকে বলা হল আপনি চিটাগাং থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে আছেন।
তারপরও আপনার অবস্থান বোঝা সহজ হলো না। কিন্তু এরপর যদি বলা হয় আপনি কক্সবাজার থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে আছেন। একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে কারণ এই তিন জায়গার দূরত্ব যে বিন্দুতে ছেদ করে আপনি সেই স্থানে আছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে আপনি ঢাকা চিটাগাং এবং কক্সবাজার থেকে উল্লেখিত দূরত্বে বান্দরবানে আছেন।
স্যাটেলাইট ব্যবহার করে অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ এবং উচ্চতা এই তিনটি বিষয় জানার মাধ্যমে কোন স্থানের যথার্থ অবস্থান নির্ণয় করা যায়। তিনটি অবস্থানের সম্মিলিত বিন্দুকে বলা হয় কো-অরডিনেট পয়েন্ট। স্যাটেলাইটের সাহায্যে যথার্থ এবং নির্ভুল অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয় দুইটি জায়গার নাম একই হতে পারে কিন্তু তাদের কোর্ডিনেট পয়েন্ট কখনোই এক হতে পারে না।
সমগ্র পৃথিবীকে জিপিএস ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতে ৩০ টি স্যাটেলাইট সার্বক্ষণিক নিয়োজিত রয়েছে। তবে এই সেবা নিশ্চিত করতে ২৪ টি স্যাটেলাইটের দরকার হয়। কোন একটি স্যাটেলাইট হঠাৎ নষ্ট হয়ে গেলে জিপিএস ব্যবস্থা যাতে বিঘ্নিত না হয়। সেজন্য বাকি ৬ স্যাটেলাইট ব্যাকআপ হিসেবে রাখা হয়েছে।
জিপে স্যাটেলাইট গুলো এমন ভাবে সাজানো যে কোন মুহূর্তে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের অবস্থান নির্ণয় করতে চারটি স্যাটেলাইট সবসময় থাকবেই। তারমানে এই মুহূর্তেও আপনি কমপক্ষে চারটি জিপিএস স্যাটেলাইটের আওতার মধ্যে আছেন। এসব স্যাটেলাইট পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় ঘুরতে থাকে।
এক একটি জিপিএস স্যাটেলাইট পৃথিবীর চারপাশে একবার ঘুরে আসতে ১২ ঘন্টা সময় নেয়। অর্থাৎ এরা দিনে দুইবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। জিপিএস স্যাটেলাইট সবসময় এক ধরনের রেডিও সিগন্যাল বা সংকেত পাঠাতে থাকে। পৃথিবীতে থাকা জিপিএস চিপ এসব সিগন্যাল গ্রহণ করে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।
বর্তমান কালের সকল স্মার্টফোনে এই জিপিএস চিপ সংযুক্ত আছে। এমনকি আজকাল স্মার্ট ঘড়ি চাবির রিং জুতা সহ নানান ধরনের সরঞ্জামে জিপিএস চিপের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। স্যাটেলাইট সিগনাল পাঠায় এবং জিপিএস চিপ সেই সিগন্যাল গ্রহণ করে এখন প্রশ্ন হল এর মাধ্যমে অবস্থান কিভাবে নির্ণয় হয়?।
স্যাটেলাইট যখন সিগনাল পাঠায় এবং যখন সিগন্যাল গ্রহণ করে সেই দুটি সময় লিপিবদ্ধ করা হয।সিগন্যাল প্রেরনের এবং সিগন্যাল গ্রহণের মধ্যবর্তী এই সময় দিয়েই দূরত্ব পরিমাপ করা হয়। এসব রেডিও সিগন্যাল সেকেন্ডের এক লক্ষ ভাগের একভাগ সময়ে তিন কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। তারমানে স্যাটেলাইট থেকে আপনার স্মার্টফোনের সিগনাল আসতে এক সেকেন্ডেরও কম সময় লাগে।
অতি ক্ষুদ্র এই সময়ের ব্যবধান নির্ণয় করা হয় এটমিক ক্লক বা আণবিক ঘড়ির সাহায্যে। অ্যাটোমিক ক্লক হল সময় নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে নির্ভুল যন্ত্র।চারটি স্যাটেলাইট থেকে যখন একটি রিসিভারের দূরত্ব জানা যায় তখনই জিপিএসের মাধ্যমে নির্ভুল অবস্থান নির্ণয় করা সম্ভব হয়।জিপিএস এর সুবিধা গুলো কি কি তা জেনে নেওয়া যাক।
জিপিএস এর মাধ্যমে আমরা জায়গার অবস্থান নির্ণয় করতে পারি। লোকেশন ট্র্যাক করতে পারি, অপরিচিত কোন জায়গায় আশেপাশে কোন দোকান রেস্টুরেন্ট হোটেল ইত্যাদি খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। জিপিএস এর মাধ্যমে রাস্তায় কোন ট্রাফিক জ্যাম আছে নাকি সেটা জানতে সাহায্য করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
জিপিএস এর অসুবিধা
প্রিয় বন্ধুরা, আজকের এই আর্টিকেলে এতক্ষণ আমরা জানলাম জিপিএস এর কি কি সুবিধা রয়েছে। এবং এখন আমরা জানবো জিপিএস এর কি কি অসুবিধা রয়েছে তা সম্পর্কে। আমরা সকলেই জানি যে জিনিসের যত সুবিধা রয়েছে তার কিছু অসুবিধা রয়েছে। আমরা জানবো এখন সেই অসুবিধা সম্পর্কে, তা নিম্নে দেওয়া হল।
ব্যাটারি চালিত ডিভাইসে জিপিএস ব্যবহার করলে ব্যাটারি ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা হয়ে থাকে। সঠিকভাবে সিগনাল মাঝে মাঝে দেখা যায় না। এর ফলে অনেক বাধা বিঘ্ন সম্মুখীন হতে হয়।
লেখক এর মন্তব্য
প্রিয় বন্ধুরা, এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পারলাম জিপিএস কাকে বলে জিপিএস এর কাজ কি জিপিএস কিভাবে চালু করতে হয়। এবং জিপিএস এর কি কি সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে তা সম্বন্ধে। তাই জিপিএস সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেল আপনার কাছে কেমন লেগেছে তার কমেন্টে জানাতে পারেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url