আর্টিকেল স্পিনিং ও স্কেপিং বিশ্লেষণ

 হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করি সবাই ভালো আছো।আপনাদের সামনে আবারো হাজির হলাম নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে।আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যে বিষয়গুলো জানব, সেই বিষয়গুলো হল।একটা আর্টিকেল লেখার পরে কিভাবে আমরা গ্রামারটিক্যাল চেক করব।


এবং আর্টিকেল স্পিনিং ও স্কেপিং কি? এর কাজ কি এ সম্বন্ধে। তাই এই বিষয়গুলো জানতে হলে আজকের এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকা

আজকের আর্টিকালে আমরা যে বিষয়গুলো জানবো সে বিষয়গুলো হলো।একটি আর্টিকেল লেখার সময় অনেক ধরনের কাজ করতে হয়। একটা আর্টিকেল লেখার সময় কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয়।কপিরাইটিং কি।প্লেইজারিজম কি এটা কেন করবেন এই কাজ করলে কি সুবিধা পাবেন এবং কি কি অসুবিধা হবে এ সম্পর্কে।কি এটা কেন করবে? এই কাজগুলো করলে কি সুবিধা পাবেন আর্টিকেল লেখার সময় কিভাবে স্ক্রিনশট নিতে হয় কপিরাইটিং কি।
  • স্ক্রিনশট টেকনিক
  • গ্রামারটিক্যাল এর চেকার
  • কপিরাইটিং বিশ্লেষণ
  • আর্টিকেল স্পিনিং ও স্কেপিং বিশ্লেষণ
  • Plagiarism কী? কেন করবেন

স্ক্রিনশট টেকনিক

আমরা যখন আর্টিকেল লিখি, এরমধ্যে বিভিন্ন আর্টিকেল থাকে টিউটোরিয়াল এর মত। মানে কোন কিছু সম্পর্কে বলে দেয়া হচ্ছে,এই কাজটা কিভাবে করবেন,অমুক জাগাত ক্লিক করুন, বা এটা ডাউনলোড করুন, এক কথায় বর্ণনামূলক। এরকম বর্ণনামূলক আর্টিকেল বা পোস্ট ভিতর এর প্রয়োজন পড়ে। এই স্ক্রিনশটের টেকনিক গুলো নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।

স্ক্রিনশট নেয়ার নিয়ম।আমরা যখন একটা স্ক্রিনশট নেব, সেটা কতটুকু নিব এবং কতটুকু নিলে দেখতে ভালো লাগবে এবং ভিজিট দেখলে বুঝতে পারে যে এটা কিসের জন্য স্ক্রিনশট নেয়া হয়েচে।স্ক্রিনশট নেওয়ার ক্ষেত্রে একেক ডিভাইসে এক এক রকম হয়ে থাকে। যেমন মোবাইলে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য ভলিউম আপ বাটন এবং পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চাপ দিলে স্ক্রিনশট হয়ে যায়। 

আবার কিছু কিছু ফোন আছে তিনটা আঙ্গুল উপর দিক থেকে নিজের দিকে টান দিলেই স্ক্রিনশট উঠে যায।কম্পিউটার বা ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে সব থেকে সহজ যে পদ্ধতিটা রয়েছে সেটা হল, প্রথমত আপনি যে পেজটার স্ক্রিনশট নিবেন সেই পেজটা অবশ্যই আপনার স্কিনের উপরে রাখতে হবে।

এরপরে স্টার্ট মেনুতে চাপ দিতে হবে সেখান থেকে স্লিপিং টোল খুঁজে বের করতে হবে। এবং স্লিপিং টুল টা ওপেন করতে হবে। স্লিপিং টোল থেকে নিউ বাটনে চাপ দিয়ে কতটুকু স্ক্রিনশট নেব ততটুকু সিলেট করতে হবে।সিলেট করা হয়ে গেলে কিবোর্ড থেকে কন্ট্রোল এস চাপ দিলে এটা সেভ হয়ে যাবে।অনেক সময় দেখা যায় পুরো ওয়েবসাইট বা পুরো স্কিনের স্ক্রিনশট নিয়ে ফেলেছি।
আর্টিকেল স্পিনিং ও স্কেপিং বিশ্লেষণ
এক্ষেত্রে কাটাকাটির প্রয়োজন হই তাহলে কাটাকাটির জন্য ফটোশপ সফটওয়্যার টা খুবই ভালো।যদি কোন স্ক্রিনশট কাটার প্রয়োজন হয় তাহলে ফটোশপ ওপেন করে,যে স্কিনশটটা কাটার প্রয়োজন সেটা ফটোশপ সফটওয়্যারে ওপেন করতে হবে। এবং ক্রপ টুল ওপেন করে যতটুক প্রয়োজন ততটুক কেটে নিতে পারবেন।

কেটে নাও ওই স্ক্রিনশট টাতে জলছাপ দিতে পারবেন যাতে করে আপনার কাটা স্ক্রিনশট টা চুরি করে তাদের ওয়েবসাইটে দিতে না পারে।এই স্ক্রিনশট এর উপর আপনার যদি এর প্রয়োজন হয় তাহলে ব্রাশ টুল ব্যবহার করতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি মার্ক বা চিহ্নিত করতে পারবেন।

গ্রামারটিক্যাল এর চেকার

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব, লেখালেখির মাধ্যমে যদি কোন ভুল হয়ে থাকে। সেটা কিভাবে সংশোধন করা যায়। আমরা সাধারণত দুই ধরনের লেখালেখি করে থাকি। বাংলা এবং ইংরেজি। এজন্য আমরা দুই ধরনের চেক করব। আমাদের যে ব্রাউজারগুলো ব্যবহার করি সেগুলো ইংরেজিটা খুব ভালো মতন সাপোর্ট করে।

এবং বাংলাটা খুব ভালো মতন সাপোর্ট করে না।ইংরেজি গ্রামারটিকার ইররগুলো আমরা ব্রাউজার ইন্টারফেসে করতে পারবো। আর যদি আমরা বাংলা ব্যাকরণের ভুলগুলো চেক করতে চাইছে তাহলে, আলাদা করে আমাদের অ্যাপস বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।ইংরেজিতে কোন পোস্ট লেখার সময় যদি নিচে লালকারির দাগ আসে তাহলে বুঝতে হবে সেটাতে ভুল আছে।

আর যদি বুঝতে না পারেন কি ভুল আছে তাহলে লেখাটির উপর মাউস পয়েন্ট নিয়ে যেয়ে রাইট ক্লিক করুন।তাহলে উপরে বানানের অপশন দেখা দিবে সেখান থেকে ঠিক করে নিতে পারবেন।যদি ইংরেজি বানান ব্যাকরণগতভাবে ভুল করে থাকেন, তাহলে এখান থেকে চেক করতে পারবেন। এবার আসি বাংলা বানান ভুল হলে সেটা কিভাবে সংসধন করবেন।

বাংলা বানান সংসধনের জন্য সমস্ত লেখাগুলো লিখে নেওয়ার পরে।আপনি চাইলে স্পেল চেকারের মধ্যে লিখতে পারেন। অভ্র সফটওয়্যারটি ওপেন করে স্পেল চেকারের মাধ্যমে চেক করতে পারি।

কপিরাইটিং বিশ্লেষণ

আজকের আমাদের আলোচনার বিষয় হলো কপিরাইট কি, কিভাবে কাজ করে, এটার সম্পূর্ণ বিচার বিশ্লেষণ করা।কপিরাইট হলো কোন কিছুর মালিকানা সংশ্লিষ্ট ব্যাপারকে কপিরাইটিং বলা হয়।আর কপি পেস্ট হল এক জায়গা থেকে কপি করে নিয়ে যে আরেক জায়গায় বসিয়ে দেওয়া।বা অন্যের জিনিস নিজের বলে দাবি করাকে কপি পেস্ট বলে।

এখন আমরা যে কপিরাইটিং নিয়ে আর্টিকেল লিখতেছি এটা এই দুটর মরধে কনটাই না।এটা সম্পুরন আলাদা বিষয়। পাঠকদের বা যাদের কাছে কোন কিছু বিক্রি করা হবে, তাদেরকে প্রমিস করার মাধ্যমে মনোযোগ আকর্ষণ করে আকৃষ্ট করা,বা সহজ কিছু প্রলোভন দেখিয়ে।বিক্রয় করা বা সেবা পৌঁছে দেওয়াই হলো কপিরাইটিং।

আর্টিকেল স্পিনিং ও স্কেপিং বিশ্লেষণ

আমরা এখন জানব আর্টিকেল স্পিনিং আর্টিকেল স্কেপিং কী কিভাবে করতে হই এটা করা উচিট কি না এই বিষয়ে। তো শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক আর্টিকেল স্পিনিং কি। আপনারা হয়তো স্পিনিং শব্দটির সাথে অনেকে পরিচিত। আর্টিকেল স্পিনিং বলতে কোন একটা আর্টিকেল থেকে আরেকটা আর্টিকেল কে তৈরি করা বোঝানো হয়। নতুন আর্টিকেলটা আগের আর্টিকেল থেকে ভিন্ন।

ভিন্ন বলতে বোঝানো হয়েছে সেম শব্দগুলো থাকবে না সেগুলোকে অন্য কিছু শব্দতে রূপান্তরিত করা হবে।একই আর্টিকেল ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রূপান্তর করার জন্য আর্টিকেল স্পিনিং খুবই ভালো। আর্টিকেল স্পেলিং করার জন্য গুগলে অনেক ধরনের অ্যাপস বা টোল পাওয়া যায়।এরমধ্যে একটি হল ফ্রি আর্টিকেল স্পিনিং ডটকম।

কিন্তু আর্টিকেল স্পিনিং ব্যবহার করে আর্টিকেল লেখে  গুগলে পাবলিশ না করাই ভালো। কারণ এটা কোন আর্টিকেল লেখার লিগের নিয়ম নয।এটা করে গুগলে পাবলিশ করলে গুগলের রেংক করতেও পারে আবার নাও করতে পারে।এটা যদি কখনো গুগল ধরতে পারে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতি হতে পারে।

তো এতক্ষণ আমরা জানলাম আর্টিকেল স্পিনিং কি।এখন জানবো আর্টিকেল স্কেপিং কি।ধরুন কোন একটা স্পিনিং করা সফটওয়্যারে আপনি একটি কিওয়ার্ড লিখে দিলেন। সেই কি ওয়ার্ড অটোমেটি আর্টিকেলে রূপান্তরিত হয়ে গেছে এটাই আর্টিকেল স্কেপিং।আর্টিকেল স্কেপিং যেহেতু সফটওয়্যার জেনারেট সিস্টেমে হয় অনেক সময় একচুয়াল অর্থ আপনার আর্টিকেল থেকে নেওয়া আসতে পারে সে ক্ষেত্রে এটা গুগল কর্তৃপক্ষ যদি বুঝতে পারে।

বাজে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনি গুগলের রেংক করাচ্ছেন সেটা যদি টাস্ট  করতে পারে তাহলে ওয়েবসাইটের জন্য ক্ষতি হতে পারে। তাই আমার মতে এটা ব্যবহার না করাই ভালো। 

Plagiarism কী? কেন করবেন

প্লেইজারিজম কি এটা কেন করবেন, এর প্রয়োজনে এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে আজকের আর্টিকেলে।তাহলে আলোচনার শুরুতে জানা যাক প্লেইজারিজম কি।মনে করেন যে আপনি একটা পোস্ট লিখেছেন আপনার ওয়েবসাইটে।সেই পোষ্টের পুরো অংশ বা কিছু অংশ বা কয়েক প্যরা বা কয়েক লাইন কপি করে পাবলিশ করে দিয়েছে তার ওয়েবসাইটে আপনাকে কোন ক্রেডিট দেয়নি।

এটাই হচ্ছে প্লেজারিজম। একজনার ওয়েবসাইট থেকে লেখা কপি করে নিয়ে আর একজন ওয়েবসাইটে পাবলিশ করে নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াই প্লেইজারিজম। প্লেইজারিজম করবেন। আপনার লেখা পোস্ট কেউ চুরি করছে নাকি বা কতটুকু চুরি করছে এটা দেখার জন্য প্লেইজারিজম ব্যবহার করা হয়।

ধরুন আপনার একটি পোষ্টের ভিতর থেকে যে কোন স্থান থেকে কপি করে নিয়ে এসে গুগল সার্স দিয়ে দেখা জাই কেও আপনার পস্ট চুরি করছে নাকি।এবং তার বিরুধে একশন ও নিতে পারবেন সে অনুযায়ী।

লেখকের মন্তব্য

হ্যালো বন্ধুরা আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা যে বিষয়গুলো জানতে পারলাম।সেই বিষয়গুলো আর্টিকেল লেখার সময় গুরুত্ব দিতে হবে।তাই আমরা আশা করব যাতে করে আমরা স্পিনিং ও স্কেপিং সফটওয়্যার টা ব্যবহার না করি।তাই আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনারা উপকৃত হবেন।এবং এই আর্টিকেলটি পুরোটাই মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। যদি এই আর্টিকেলটি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার এবং কমেন্ট করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url